শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:২০ পূর্বাহ্ন
দাবি পূরণে অন্তর্বর্তী সরকারকে এক মাস সময় দিয়েছেন এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট ওর্ডার) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা। এই সময়ের মধ্যে ‘দৃশ্যমান ও যৌক্তিক’ পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশস্থলে এ ঘোষণা দেন ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের’ সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি যৌক্তিক, এটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও স্বীকার করেছেন। কিন্তু তারা যৌক্তিক দাবি পূরণে গড়িমসি করছেন। আমরা দাবি আদায়ে ৩০ দিন সময় বেঁধে দিচ্ছি। এক মাসের মধ্যে আমাদের দাবি মানা না হলে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর অর্ধদিবস এবং ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালান করা হবে। তাতেও না হলে ১২ অক্টোবর থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বাড়ি ভাড়া ৫০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ করে ডিউ লেটার অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় আমাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তারা বলেছেন, সব দাবি একবারে পূর্ণ করা সম্ভব নয়। আমরা এই দাবিগুলো পূরণে কী পরিমাণ অর্থ লাগবে তা নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করব। প্রস্তাব রেখেছি, আমাদের বাড়ি ভাড়া পার্সেন্টেজ হিসেবে বাড়াতে হবে।
জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি করে অর্থ মন্ত্রণালযয়ে পাঠানো হবে। চিকিৎসা ভাতা ৫০০ থেকে ১০০০ করা হবে। আমরা এই বিষয় নিয়ে আর বেশি কিছু বলিনি। আমরা বাড়ি ভাড়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। যদি আমাদের দাবিগুলো মেনে অর্থ মন্ত্রণালযয়ে ডিউ লেটার পাঠানো না হয় তাহলে আমরা নতুন কর্মসূচিতে যাব।
এর আগে, জাতীয়করণের দাবিতে সকাল থেকেই জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হন হাজারো শিক্ষক ও কর্মচারী। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট’-এর ব্যানারে সমাবেশ শুরু হয়। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী- দুপুরে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি করার কথা ছিলো শিক্ষকদের। তবে দুপুর দেড়টার দিকে সমাবেশস্থল থেকে ১০ জন শিক্ষক নেতা সচিবালয়ে যান। তারা শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।